পৃষ্ঠাসমূহ

জল-জোছনার কাব্য

জল-জোছনার কাব্য

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

মৌন সর্বনাশ//

                                            তুমি আমাকে ভেঙেচুরে নষ্ট কর
কিংবা অযত্নে ফেলে রেখে কর বিনাশ
যেন আমি পড়ে ফেলা কোন কবিতার বই
কিংবা এক নিঃশ্বাসে শেষ করা কোন উপন্যাস
তুমি যতোই আমাকে পরিত্যাগ করো
আমি তোমার ভিতর করবো বাস
নিদান কালের সঙ্গী হবো
হবো তোমার সর্বনাশ//
                             
                                                 
                                     
                                     
                             


                                     
                                     
                                     
                                    

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

দুঃখ গুলো বাড়ায় কালো হাত


আমি অনেক দুঃখ পুষি
দুঃখ গুলো নীল
হয়তো তোমার দুঃখের সঙ্গে আছে কোথাও মিল
কিংবা গড়মিল
দুঃখ গুলো অস্থিতিশীল
কখনো ওরা মেঘ হয়ে যায় কখনো আবার চিল
অশ্রু হয়ে চোখে করে
নোনা জলের মিছিল
দুঃখ গুলো খুব বেপরোয়া লাগামছাড়া দিশেহারা
বুঝা যে মুশকিল
হৃদয়ের শান্ত জলে অকারণে
হঠাৎ মারে ঢিল
দুঃখ গুলো হরেক রকম
হরেক রকম জাত
অকারণে বুকের ভিতর ঘটায় রক্তপাত
চুপিসারে দূরে গিয়েও আবার ফিরে যে অকস্মাৎ
যখন ভুল অধরে ওষ্ঠ রাখার
ভুল চিবুকে মগ্ন হওয়ার রাত
দুঃখ গুলো বাড়ায় কালো হাত
ভুল মানুষকে ভেবে ভেবে রাতের ঘুম যে উৎখাত//

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

সব বন্ধুকে ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা


জ।ল জো।ছ।না।র কা।ব্য আমার ব্যক্তিগত কবিতা ব্লগ। আমার কবিতার আর্কাইভ। মূলত ফেসবুকে আমার টাইম লাইনে পোস্ট করা অনুকাব্য এবং কবিতা গুলোকে সুবিন্যস্ত ভাবে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যেই এই ব্লগের সৃষ্টি।

বিগত ২৮ মার্চ, ২০১২ ইং তারিখে জ।ল জো।ছ।না।র কা।ব্য ব্লগটির যাত্রা শুরু হয়।  অগ্রযাত্রার শুরু থেকেই কবিতা প্রেমিদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া গেছে
, যার ফলে তিন বছর কয়েক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর এই ব্লগের দর্শনার্থীর (Visitor) সংখ্যা আজ পঞ্চাশ হাজার অতিক্রম করলো।
 

এই অর্জন নিঃসন্দেহে আনন্দের এবং উৎসাহ ব্যঞ্জক। তবে ব্লগটিতে কবিতা পোস্ট করার ব্যাপারে আমি শুরুতে যতোটা তৎপর ছিলাম, ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং আলসেমির কারণে পরবর্তীতে সেই উৎসাহ বা তৎপরতা সমান ভাবে ধরে রাখতে পারিনি। নয়তো দর্শনার্থীদের সংখ্যা নিঃসন্দেহে নয়তো দর্শনার্থীদের সংখ্যা নিঃসন্দেহে এর দ্বিগুন হতো।
 

তবুও জ।ল জো।ছ।না।র কা।ব্য ব্লগের এই বিপুল পাঠক প্রিয়তায় আমি সন্তুষ্ট। যে সব কবিতা প্রেমি পাঠক বন্ধু বিশেষ করে আমার Google+ এবং Facebook বন্ধুরা যারা আমার ব্লগটি পরিদর্শন করেছেন, মন্তব্য করেছেন, তাদের প্রতি রইল আমার সবিনয় কৃতজ্ঞতা, এবং ভালোবাসা।

একটি অনন্য মাইল ফলক অতিক্রমের শুভ মুহূর্তে জ।ল জো।ছ।না।র কা।ব্য ব্লগটিকে আরো কিভাবে সমৃদ্ধ করা যায়
, সুবিন্যস্ত করা যায়, সেই ব্যাপারে আমার বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী এবং কবিতা প্রেমিদের মূল্যবান মতামত এবং পরামর্শ প্রত্যাশা করছি। ভালো থাকুন এবং পাশেই থাকুন বন্ধুরা আমার।

বিনীত
ঈশান মাহমুদ
খিলগাঁও, ঢাকা।
ishan1219@yahoo.com

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

আমি আবার আসবো ফিরে


আমি তোমার কাছে আসবো  ফিরে
কোন এক চন্দ্র রাতের শেষে
আমার জন্য কিছু জল রেখো চোখে
ললাটে রেখো কিছু রোদ
ঠোঁটে রেখো একটু লেপ্টানো হাসি
চিবুকে রেখো কিছু মিষ্টি আদর
আর বুকে রেখো বাসনা

আমি আবার আসবো ফিরে
স্বপ্ন-সারথি অথবা শাদা বকপাখি হয়ে
শিশির ভেজা কোন এক নিশ্চুপ রাতে
তুমি সোহাগ কাঁকন পরে
দখিনের দরজায় দাঁড়িয়ে থেকো
আর ভুলে যেও অভিমান
ভুলে যেও সব দলছুট বেদনা//

কথা হবে নীরবে


এই শীতার্ত রাতে
দ্বিধার দরজা খুলে
শীতল অভিমান ভুলে
তুমি আমার কাছে এসো
এসো তুমি নিঃশ্বাসের কাছে
এসো আমার চাদরের উষ্ণতায়
তোমাকে কিছু জমানো কথা বলবো
কথা বলবো যে কথা কখনো বলিনি
কথা বলবো স্পর্শের উত্তাপে
কথা বলবো চোখের ভাষায়
কথা হবে জলজ ঠোঁটে
কথা হবে নীরবে//

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

অসমাপ্ত প্রেম


আমার জীবনে তোমার ভূমিকা খুবই অল্প
তুমি উপন্যাস হতে পারতে কিন্তু হলে ছোট গল্প
কবিতাও হতে পারতে কিন্তু হলে বিষাদগাথা
কষ্টের সূতায় বুনলে বুকে সুনিপুন নকশী কাঁথা
সামলে রাখতাম হৃদয় যদি আগে জানতেম
আমার দরজায় রেখে যাবে তুমি অসমাপ্ত প্রেম//

ইচ্ছে করে শিশিরের জল হই


ইচ্ছে করে কবিতা হয়ে যাই
অথবা হয়ে যাই উপন্যাস
শুধু
তোমার জন্য নিজেকে করি
আবার নতুন করে বিন্যাস
 
ইচ্ছে করে সঙ্গীত হয়ে
তোমাকে ইঙ্গিতে বলি
কিছু কথা
অথবা নিশ্চুপ রাত্রি হয়ে
বাড়িয়ে দেই তোমার নীরবতা

ইচ্ছে করে হয়ে যাই ছোট গল্প
অথবা হই শরতের বৃষ্টি
তোমার চোখে একটি জলাশয়
আনমনে করে দেই সৃষ্টি


ইচ্ছে করে ঘুম হয়ে তোমার
কাজল চোখের পাপড়ি  ছুঁয়ে দেই
কিংবা শিশিরের জল হয়ে
সকল গোপন দুঃখ ধুয়ে দেই
//

 

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫

মায়া দৃষ্টি


মেঘ পরীরা ডাকে আমায়
বৃষ্টি দিবে বলে
তোমার কাছে পড়ে আছি
দৃষ্টি দিবে বলে
তোমার একটু মায়া দৃষ্টি
বুকের ভিতর করবে সৃষ্টি
একটি জলাশয়
আমার দিকে তাকাও যদি
কৃপা তোমার হয়//

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

সৌরভ

তুমি একেকদিন একেক ধরণের সৌরভ নিয়ে আসো
একদিন হয়তো পাই জুঁই ফুলের ঘ্রাণ
অন্য দিন হয়তো নেবু পাতার সৌরভ
কিন্তু তোমার শরীরে জুঁই কিংবা নেবু পাতার ঘ্রাণ নয়
সেই চিরচেনা ঘামের গন্ধ পেতে চাই
যে গন্ধ আমাকে বারবার আসক্ত করে
চোখে বুনো নেশা ধরায়, গোপন বাসনা জাগায় হৃদয়ে//

বাসনা


আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে চাই
লজ্জার আস্তরণ ভেঙ্গে উন্মোচন করতে চাই সব রহস্য
ছুঁতে চাই তোমার দ্বিধা টুকু এবং নিঃশ্বাসের বাতাস
হৃদয়ে প্রণয়ের দাগ রেখে চলে গেল উদাসী শরৎ
আকাশ খুলে দিল তার নীল শাড়ির আঁচল
তবু সংশয়ের অবগুণ্ঠন খুলে তুমি নিজেকে মেলে দিলে না
তোমাকে একটু একটু করে আমি আবিস্কার করতে চাই
প্রণয়ের কবিতা লিখতে চাই তোমার উর্বসী শরীরে
আনমনা চিবুকে এঁকে দিতে চাই শিশির চুম্বন
বাসনার রাতে আমি তোমার প্রশ্রয় চাই
রক্ত ঠোঁটে ফুটাতে চাই ভালোবাসার কদম
তোমার মৌণ অভিমান ছুঁয়ে আবার আমি প্রেমিক হতে চাই //



মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৫

প্রশ্ন


যদি কাছেই না আসো

কিভাবে বুঝবো আমায় খুব ভালোবাসো

যদি মুখে কথাই না ফোটে
কিভাবে জানবো তুমি প্রেম জমাও ঠোঁটে
যদি ধরাই না দাও বুকে
কিভাবে স্বপ্ন আঁকবো টোল পড়া চিবুকে
যদি দূরে দূরেই থাকো
বল কিভাবে নির্মিত হবে উষ্ণতার সাঁকো?//

তুমি আমার...


তুমি আমার বুকের মাঝে চৈত্র দিনের গান
বৃষ্টি দিনে চোখের কোনে জলের অভিমান

তুমি আমার রোদ দুপুরে ঝরাপাতার চিঠি
নিঃসঙ্গ রাত একলা আকাশ তারা মিটিমিটি

তুমি আমার শরৎ সন্ধ্যার আনমনা বাতাস
কষ্ট-বিষাদ কালে যেন মৌন-মেঘলা আকাশ

ভালোবাসার নদীর ওপর তুমি আমার সাঁকো

নিঃশ্বাসের বাতাস হয়ে বুকের ভিতর থাকো//

শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০১৫

বিভ্রম

আমার গল্প বলা শেষ
তোর মায়া চোখে দেখি জলের বিভ্রম
পড়ি পড়ি করছে এক ফোটা নোনা কষ্ট
আমি করতল পেতে দিলাম। তোর কষ্ট টুকু আমার হোক
কতোটুকু কষ্ট জমে এক ফোঁটা চোখের জল হয়, আমি জানতে চাই
জানতে চাই আমার দুঃখে কেন তোর চোখ কাঁদে 

আমার মন খারাপের গল্প শুনে কেন তোর মন পোড়ে
জানতে চাই, ঝরাপাতা উড়ে যায় কোন অভিমানে
দূর আকাশে শাদা মেঘ উড়ে যায়, যায় কোন খানে 
তুই আমার কাছে ছুঁটে আসিস বল কিসের টানে?

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

কস্টের সলতেটা উস্কে দিলাম

কস্টের সলতেটা উস্কে দিলাম
ঘি ঢেলে দিলাম বিরহের অনলে
পুড়ুক ব্যর্থ হৃদয় উড়ুক ছাই
জানি আমি আর তোমাতে নাই
এখন তোমার চিবুক ছোঁয় অন্য কেউ
হৃদয়ের সরোবরে নতুন ঢেউ
তাই আমার সকল অভিমান আর
ভালোবাসা আজ ফিরিয়ে নিলাম//

 

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

দৃষ্টির বৃষ্টি

তুমি চলার পথে আমার চোখে দৃষ্টি কেন থামাও
হঠাৎ রোদ দুপুরে আমার ভিতর বৃষ্টি কেন নামাও
তোমার দৃষ্টি যখন বৃষ্টি হয়ে ভিজায় আমার মন
তখন ইচ্ছে করে তোমার পাশে দাঁড়াই কিছুক্ষণ//

শরতের দু্ষ্টু বাতাস


আমি সারারাত শুধু তোমাকে ভেবেছি
তোমাকেই করেছি পাঠ
অতপর আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেল
শেষ রাতের বৃষ্টির ছাঁট


নির্ঘুম রাতে জেগে তারাদের সাথে
দিগন্তে দেখেছি ভোরের আভাস
আমাকে গোপনে এসে ছুঁয়ে দিয়েছিল
শরতের দু্ষ্টু বাতাস//

দীর্ঘশ্বাস


ঝুম বৃষ্টির পরে তোমার হঠাৎ চলে যাওয়া
আমার জন্য রেখে গেলে বৃষ্টি ভেজা হিমেল হাওয়া
চোখের তারায় নাই’বা রইলাম
তোমার মনের ভিতর করবো বাস
তোমার জন্য রেখে যাবো এক জনমের দীর্ঘশ্বাস//

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

প্রত্যাশা

অতঃপর মন খারাপের কাব্য থেমে যাক
মুছে যাক কষ্টের দাগ আর বিবর্ণ বিষাদ
উবে যাক জল-অভিমান

বরং
দখিনের বারান্দায় একটু সময় থামুক
ধূমায়িত চায়ের কাপে কিছু উষ্ণতা জমুক
প্রসন্ন সকালে হোক একটি রোদেলা কবিতা//

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

কষ্ট


তুমি যখন কষ্ট পাঠাও মন খারাপের খামে
ভর দুপুরেও বুকের ভিতর নির্জনতা নামে
তোমার কষ্ট রক্ত ঝরায় এই বুকের গভীরে
একা করে দেয় যেন হাজার লোকের ভিড়ে
//

আক্ষেপ


রমণীরা কাছে আসে রমণীরা দূরে যায়
যাওয়ার আগে এই হৃদয়টা খুঁড়ে যায়
অনেক কিছু নিয়ে যায় দিয়ে যায় অল্প
শুধু অলক্ষ্যে তৈরী হয় বিষাদের গল্প//


শুক্রবার, ৫ জুন, ২০১৫

একটি হলুদ পাতার বিকেল

একদিন একটি হলুদ পাতা রঙের বিকেল তুমি আমার জন্য বরাদ্দ রেখো
কলাপাতা রঙের একটি শাড়ি পরে তুমি আমার কাছে এসো
কাজল কালো দু’চোখে রেখো পুঁই ডগার মতো একটু দ্বিধা
ঘাম চিক চিক ঝিনুক চিবুকে রেখো একটু রূপালী সংকোচ
সাদা মুলোর মতো ফর্সা গালে লেগে থাকুক সিঁদুরে আমের আভা
কমলা রঙের লাজুক ঠোঁটে রেখো মধু মিশানো এক টুকরো হাসি
মায়া মুখে রেখো একটু প্রেমের আভাস অথবা একটু ঝড়ের আভাস
চাইলে চোখের তারায় একটু অভিমানও রাখতে পার
অনেক দিন তোমার খবর নেইনি বলে ফেটে পড়তে পারো রাগে
অথবা ক্ষমা করে দিতে পারো আমাকে গাঢ় অনুরাগে
কিংবা অভিমানী অশ্রুতে ভিজিয়ে দিতে পারো আমার কাঁধ
কিছুক্ষণের জন্য হলেও সেদিন তুমি আমার প্রেমে পড়তে পারো হতে পারো প্রেমিকা//

কবিকে তুমি ব্যথিত করো না



                                                   কবিকে লজ্জা দিও না তুমি চুম্বন চেয়ে
                                                   বেপরোয়া হইও না বেশী প্রশ্রয় পেয়ে
করো না জোরজবরদস্তি কিংবা অনুনয়
কবি কারো ইচ্ছের কাছে নতজানু নয়
ভালোবাসার হরিৎ রোদ গায়ে মেখে
কামনা-বাসনা সকল হিম ঘরে রেখে
বিব্রত কবি জানালার পাশে বসে থাকে
তোমার মুখ খানি সে শুধু হৃদয়ে আঁকে
                                                   দোহাই কবিকে তুমি ব্যথিত করো না//
                                            

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০১৫

চুম্বন অভিলাষ


তোর রক্ত ঠোঁটের প্রান্তে ঝুলে চুম্বন অভিলাষ
আমি বালিহাঁসের ডানায় দেখি রোদের দীর্ঘশ্বাস
আনমনা বিকেল মরে গিয়ে উর্বশী রাত নামুক
কামুক রাতের কাছে এসে দমকা বাতাস থামুক
চন্দ্র রাতে কাক জোছনাতে আসুক মিথ্যে ভোর
তোর বুকেতে নেশা জাগুক চোখে লাগুক ঘোর
যদি রাত-দুপুরে তোর সঙ্গে হয় আমার সর্বনাশ
ঘাসের ডগায় লেখা থাকবে প্রেমের ইতিহাস//

আমি যখন থাকবো না



আমি যখন থাকবো না
জানিনা পৃথিবীর
কি ক্ষতি হবে
কিন্তু তখনও নারীরা যৌবনবতী হবে
রাত্রির জরায়ু ছিঁড়ে
তখনও আসবে সকাল
পশ্চাতে চিহ্ন রেখে চলে যাবে মহাকাল
তখনও পথ হারাবে ভোরের কুয়াশা
বাতাসে ভেসে যাবে ভালোবাসা
হায়, শুধু আমি থাকবো না//

এক রাত্রির পাপ


ভালোবাসতে বাসতে খুব কাছে চলে গেলাম
তোর নিঃশ্বাস টুকু আমার নিঃশ্বাসে টেনে নিলাম
লেপ্টে দিলাম কপালের টিপ মুছে দিলাম কাজল
ছুঁয়ে দিলাম আনাচ-কানাচ সরিয়ে দিলাম আঁচল
অতঃপর তোর প্রেম যমুনায় দিলেম আমি ঝাঁপ
হায় আমলনামায় জমা হলো এক রাত্রির পাপ//

শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৫

কষ্ট রাখার ছাইদানী



জানিনা কোন পাপে
এই হৃদয়ে ছোবল মারে
কষ্টধর এক সাপে
হৃদয় পুড়ে হলো ছাই
এই মুহূর্তে কোথায় পাই
কষ্ট রাখার ছাইদানী
কিংবা বিষ নামানোর বাইদানী//

অজানা কোন দুঃখে...


তোমার চোখে জল দেখি
মেঘ দেখি মুখে
নিজের ভিতর পুড়ছো তুমি
অজানা কোন দুঃখে
দুঃখ গুলো আমাকে দাও
লুকিয়ে রাখি বুকে
মিষ্টি আদর মেখে দেই
তোমার চিবুকে//

তুই কি আসবি বৃষ্টি হয়ে...


আমি মেঘকে করেছি জল
কষ্ট পেলে কাঁদবো বলে
ভালোবাসাকে করেছি শিকল
তোকে কাছে পেলে বাঁধবো বলে
তুই কি আসবি বৃষ্টি হয়ে
আমার কষ্ট ধুয়ে দিতে
কিংবা গভীর রাতে মিষ্টি হাতে
একটু ছুঁয়ে দিতে//

শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৫

দীর্ঘশ্বাস//


আমি ঝরাপাতায় দুঃখ জমাই দীর্ঘশ্বাসে উড়ে যায়
আমার ’সে’ অবিশ্বাসে আমায় ছেড়ে দূরে যায়
আমি বুঝিনা তার মন বুঝি না তার দেহ
কেন অকারণে সে আমাকে করে সন্দেহ
আমার বুকের ভিতর চিতা জ্বলে হৃদয়খানি পুড়ে যায়
আমার মানুষ অবিশ্বাসে কেন আমায় ছেড়ে দূরে যায়//