পৃষ্ঠাসমূহ

জল-জোছনার কাব্য

জল-জোছনার কাব্য

বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

কথা হবে নীরবে

এই শীতার্ত রাতে
দ্বিধার দরজা খুলে
শীতল অভিমান ভুলে
তুমি আমার কাছে এসো
এসো তুমি নিঃশ্বাসের কাছে
এসো আমার চাদরের উষ্ণতায়
তোমাকে কিছু জমানো কথা বলবো
কথা বলবো যে কথা কখনো বলিনি
কথা বলবো স্পর্শের উত্তাপে
কথা বলবো চোখের ভাষায়
কথা হবে জলজ ঠোঁটে
কথা হবে নীরবে//

পেনসিলে লেখা কবিতা


তোর কাঠবিড়ালি চোখ, তোর পান পাতা মুখ
তোর ফর্সা গালে টোল, তোর রিনিক ঝিনিক মল
উথাল পাতাল ঝিনুক চিবুক, বেদানা রঙা ঠোঁট
তোর মেঘ রঙা চুল, চুলে গুঁজানো জবা ফুল
দুঃখ টল মল সজল দৃষ্টি, দিশেহারা ঝুম বৃষ্টি
ঘাম চিক চিক চওড়া কপাল, লেপ্টে যাওয়া টিপ
তোর ঠোঁটের পাশে তিল তোর চোখে ওড়ে চিল
ইচ্ছে করে তোর হৃদয়ে মারি একটি ঢিল//

বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৪

তুমি আমার নাগালে এসো

ওদিকে যেও না, ওদিকে বড্ড কোলাহল খুব হৈ চৈ
বরং এদিকে এই নির্জনে এসো
তোমার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে
কথা আছে আমার চোখের সঙ্গে তোমার চোখের
তোমার ঠোঁটের সঙ্গে আমার বুভক্ষ ঠোঁটের
কথা আছে আমার হৃদয়ের সঙ্গে তোমার হৃদয়ের
আমার শার্টের সঙ্গে তোমার আঁচলের
তোমার নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমার নিঃশ্বাসের
কথা গুলো হারিয়ে যাওয়ার আগেই নাগালে এসো তুমি//

শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪

নারী, তুমি যেন ঝিলিক দেয়া তরবারি//


তোমার ভেজা অধরে আমি গুম হয়ে যাই
খুন হয়ে যাই দৃষ্টির ছোবলে
তোমার ভেজা চুলের সৌরভে আমি শিহরিত হই
উদ্দীপ্ত হই প্রেমের গৌরবে
নারী তুমি যেন মধ্যাহ্নের রোদে ঝিলিক দেয়া তরবারি
বলো তোমায় ছাড়া স্বর্গেও কি আমি একলা থাকতে পারি//

আমার খোলা জানালা

আমার জানালা আমার বাতায়ন
যেখানে বর্ষা আসে বৃষ্টি কণা নিয়ে
ফুলের সুবাস নিয়ে আসে অগ্রহায়ণ
মাঝরাতে রূপসী চাঁদ এসে জোছনা ছড়ায়
শীতের সকালে রোদ এসে উষ্ণতা রেখে যায়
ভরদুপুরে উঁকি দিয়ে যায়
শরতের নীল আকাশ
চৈত্রের খরতাপে শীতল করে দিয়ে যায় স্বস্তির বাতাস
আমার খোলা জানালা আমার দৃষ্টি মেলে দেয়ার আয়না//

 

শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৪

ইচ্ছে করে ভুলের নোঙর ফেলি তার হৃদয়ে



দূর জানালায় একটি শ্যামা মুখ
ইচ্ছে করে রোদ হয়ে তার দৃষ্টি ছুঁয়ে দেই
বৃষ্টি হয়ে ছুঁয়ে দেই তার দীর্ঘ কালো নরম চুল
তার বিষাদ চোখের নীরবতা আমাকে
প্রলুব্ধ করে
ইচ্ছে করে
একটি ভুলের নোঙর ফেলি তার হৃদয়ে//

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

তুই কি আমার বন্ধু হবি


তুই কি আমার বন্ধু হবি
আমার কথা মনে করে
সকাল-সন্ধ্যা অধীর হবি
দুষ্টমীতে বেনী ধরে
যদি দেইগো টান
ঠোঁট ফুলিয়ে গাল ফুলিয়ে
করবি অভিমান
যদি কখনো হারিয়ে যাই
পথ চেয়ে কি র’বি
অশ্রু দিয়ে চোখের পাতায়
আঁকবি আমার ছবি?//

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ভালো বাসতেই হবে


আমাকে তোমার ভালো বাসতেই হবে
নয়তো দীর্ঘশ্বাসের আগুনে পোড়াবো তোমাকে
বেদনার কালো মেঘ ছড়িয়ে দেব তোমার আকাশে
তোমার হৃদয়ের সীমান্তে দিয়ে দিবো কাঁটাতারের বেড়া
তীব্র দৃষ্টি ছোবল হেনে বিধ্বস্ত করে দিবো তোমার তুমিকে
নিশ্চুপ রাতে দুঃস্বপ্ন হয়ে বার বার হানা দিবো তোমার ঘুমে
মধ্যযুগের কোন নগর দস্যু হয়ে লুট করে নিবো সকল স্বস্তি
বৃষ্টি হয়ে তোমার রোদেলা চোখে কিছু অশ্রু রেখে যাবো
আমাকে ভালোবাসতেই হবে নয়তো করতে হবে ঘৃণা
সুবিধাবাদী কোন অবস্থান আমি মেনে নিবো না//

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ইচ্ছে কুঁড়ি



কেন মেঘ দেখিতে চায় হৃদয় কেন বৃষ্টি মাখিতে চায় গায়ে
কেন ঝরাপাতার নূপুর কুড়িয়ে বাঁধিতে চায় তোর পায়ে
তুই দহন শেষে বৃষ্টি বেশে আমার কাছে আসিস
বুকের ভিতর পাতা হয়ে সরোবরে ভাসিস
তুই ভাঙ্গিস যদি নীরবতা ভাঙ্গিস যদি অভিমান
তোর সঙ্গে চন্দ্র রাতে জোছনায় করবো স্নান।
কেন রোদ দেখিতে চায় হৃদয় শিশির মাখিতে চায় পায়ে
এই মন উড়িতে চায় তারা হইতে চায় তোর আকাশের গায়ে//

পাথর সময়ের দীর্ঘশ্বাস


আমি তোমারই ছিলাম
কতো শীত-বসন্ত অতীত হলো
কতো বোশেখ এসে তছনছ করে দিল আমাকে
কতো বর্ষা এসে চোখের প্রান্তে রেখে গেল কান্নার জল
কতো শরৎ এসে হাতছানি দিয়ে প্রলুব্ধ করে গেল
প্রিয় প্রেমিকা পাথর সময়ের দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে
তবুও শেষ পর্যন্ত আমি তোমারই ছিলাম
অথচ তুমি আমার থাকনি//

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই

আমার মনের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই
তাই ভালোবাসা অবাধেই অনুপ্রবেশ করে
আমাকে উজ্জীবিত করে আশাবাদী করে
ভালোবাসার স্পর্শ পেয়ে আমি রোদেলা হই
তারপর আমাকে বিপন্ন করে দিয়ে
অন্ধকার করে দিয়ে তছনছ করে দিয়ে
হঠাৎ সে চলে যায় রেখে যায় কিছু নীল বেদনা
দিনশেষে আমি হৃদয়ে একটি তাজা ক্ষত
আর দু’চোখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে পড়ে থাকি
নিঃসঙ্গ পরিত্যক্ত দুমড়ানো কাগজের মতোই একা//
 

আসবো না ফিরে তোমাদের এই দুঃখ নদীর তীরে


একদিন সব কষ্ট সঙ্গে নিয়ে
চলে যাবো সকল কবিতা থামিয়ে
পেছনে পড়ে থাকবে শুধু দীর্ঘশ্বাস
মলিন ধূলোয় পড়ে থাকবে যুগল পদচিহ্ন
অবহেলে পড়ে থাকবে প্রিয় কবিতার খাতা
একদিন হয়তো আমি হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হবো
সঙ্গে করে নিয়ে যাবো আমার সকল অভিমান
অচেনা-অজানা কোন গন্তব্যে পথ হারাবো
থাকবেনা কোন দ্বিধা থাকবে না পিছু টান
একদিন ঠিকই চলে যাবো অচিন দেশে
আসবো না কখনোই আসবো না ফিরে
তোমাদের এই দুঃখ নদীর তীরে//

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমি তখন প্রেমিক ছিলাম


এক চৈত্রের প্রখর খরতাপে তোমার চোখে আমি শ্রাবণ দেখেছিলাম
বোশেখের এক উদাস দুপুরে তোমার দুঠোঁটের সীমান্তে এঁকেছিলাম প্রথম শরৎ
এক শীতের ভোরে তোমার শীতল দেহে কিছু উষ্ণতা মেখে দিয়েছিলাম
তোমার রোদেলা চিবুক ছুঁয়ে কিছু কথা বলেছিলাম এক আনমনা ফাগুনে
বর্ষার এক বৃষ্টি রাতে বেপরোয়া আগ্রাসী হাতে তোমাকে ছুঁয়ে দিয়েছিলাম
তোমার চুলের গন্ধে বিভোর হয়ে কোন এক অগ্রহায়ণে একটি কবিতা লিখেছিলাম
কারণ তখন আমি প্রেমিক ছিলাম//

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

পাপ


ঘাসের পাতায় রোদ জমেছে চক্ষু জুড়ে মেঘ
বক্ষ জুড়ে জল পিপাসা দুরন্ত আবেগ
খেয়ালি রাতে মেয়েলি হাত হঠাৎ জাপটে ধরে
চুড়ি ভাঙার শব্দে আমার দ্বিধা ভেঙে পড়ে
আচম্বিতে আমি যেন জলে দিলেম ঝাঁপ
দ্বিচারিণী হলো মেয়ে আমার হলো পাপ
তোর পদশব্দ পেয়ে আবার হবে ভোর
তোর হাসির নিক্কন শুনে আমার কাটবে ঘোর
আয়রে সখি আয় আমার ঘরে আয়
লজ্জা-সংকোচ রাখিস খুলে আমার দরজায়//

তুই কি বন্ধু হবি আমার দুঃখ রাতের তারা


তুই কি বন্ধু হবি আমার দুঃখ রাতের তারা
আমার ভিতর আমি যখন হচ্ছি দিশেহারা
তুই কি হবি আমার আপন হাজার লোকের ভিড়ে
আমার সঙ্গে বসবি একটু দুঃখ নদীর তীরে

যখন কষ্ট ভরা ব্যথা গুলো আমায় থাকে ঘিরে
ভর দুপুরেও বুকের ভিতর আঁধার নামে ধীরে
মনের ভিতর বাড়ে যখন অবিশ্বাসের চারা
তুই কি তখন হবি আমার দুঃখ রাতের তারা?//

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

তুমি দুঃখ নিওনা মনে তুমি অভিমান রেখো না মনে

এই নীল জোছনার রাতে
আগ্রাসী বেপরোয়া হাতে
তোমায় না হয় একটু ছুঁয়েই দিলাম
ভালোবাসায় উথলে ওঠে
তোমার ঐ ভেজা ঠোঁটে
একটু ভালোবাসা একেঁই দিলাম
তুমি দুঃখ নিওনা মনে
তুমি অভিমান রেখো না মনে//

ইচ্ছে করে তোমাকে একটু গোপনে ছুঁয়ে দি

ইচ্ছে করে তোমাকে একটু গোপনে ছুঁয়ে দি
বৃষ্টি হয়ে চোখের কোনের দুঃখ ধুয়ে দি
ইচ্ছে করে রঙ পেন্সিলে তোমার মন রাঙিয়ে দি
সাত সকালে রোদ্দুর হয়ে ঘুম ভাঙিয়ে দি
ইচ্ছে করে তোমার ঠোঁটে মিষ্টি আদর মাখি
তীব্র শীতে চাদর করে গায়ে জড়িয়ে রাখি
ইচ্ছে করে তোমার চোখে আকাশ মেলে দি
সেই আকাশে মেঘ হয়ে যাই দিগন্ত অবধি
ইচ্ছে করে তোমাকে একটু গোপনে ছুঁয়ে দি
বৃষ্টি হয়ে চোখের কোনের দুঃখ ধুয়ে দি//

তুমি নিজেই গড় নিজেই ভাঙো প্রেমের সংবিধান


তোমার চোখের আকাশ জুড়ে শীতল অভিমান

বুকের ভিতর আমার জন্য এক জনমের টান

দ্বিধার দেয়াল ভেঙে ফেলে একটু যেচে কাছে গেলে

মেঘলা চোখে আবার কর নিস্পৃহতার ভান

তুমি নিজেই গড় নিজেই ভাঙো প্রেমের সংবিধান//

    
 

 

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

তুমি যখন ওড়ার জন্য খোঁজো নীল আকাশ


                                   
তুমি যখন ওড়ার জন্য খোঁজো নীল আকাশ
আমি তখন পায়ের নীচে খুঁজি শক্ত মাটি
আমার জীবন অগোছালো তোমার পরিপাটি
তবু ইচ্ছে করে তোমার সঙ্গে একই পথে হাঁটি
তুমিই আমার সুখ-দুঃখ নিঃশ্বাসের বাতাস
তুমি যখন ওড়ার জন্য খোঁজো নীল আকাশ
মাটির পৃথিবীতে তখন আমার বসবাস//

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

আমার স্বপ্ন বিনাশে তোর চোখে কেন জল নেমে আসে

আমার চোখে বৃষ্টি নামলে
কেন তুই জলে ভিজে যাস
আমার আকাশ রোদেলা হলে
কেন তোর মনে জাগে উচ্ছ্বাস
কথায় কথায় তুই কেন হঠাৎ আনমনা হয়ে যাস
তবে কি মেয়ে তুই মনে মনে আমাকেই শুধু চাস
আমার স্বপ্ন বিনাশে
তোর চোখে কেন জল নেমে আসে
আমার সাফল্যের সুখে
কেন আলো আসে তোর চোখে-মুখে
আমার আনন্দে কেন তুই মিষ্টি করে হাসি
তবে কি মেয়ে তুই মনে মনে আমাকেই  ভালোবাসি?//