পৃষ্ঠাসমূহ

জল-জোছনার কাব্য

জল-জোছনার কাব্য

রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১২

দুঃখ নদীর পাড়ে তবু দাঁড়িয়ে আছি তুমি হীন

চলে যায় বৃষ্টি বেলা
চলে যায় মেঘলা দিন
দুঃখ নদীর পাড়ে তবু
দাঁড়িয়ে আছি তুমি হীন

তুমি হীন একলা জীবন
কাটাই কেমন করে
চোখের নোনা কষ্ট যেন
অশ্রু হয়ে ঝরে
.…//

এক মুঠো বৃষ্টি দিলাম ভিজিয়ে নাও মন




খর রোদে যদি হৃদয় পুড়ে
তবে দাঁড়াও কিছুক্ষণ
এক মুঠো বৃষ্টি দিলাম
ভিজিয়ে নাও মন//

 

বুকের যতো কষ্ট ধুয়ে নষ্ট হৃদয় একটু স্বস্তি পাক




ও উদাসী বাতাস
শরতের মেঘের কাছ থেকে
কিছু জল কণা এনে আমায় দে
আমার মনটা ভিজে যাক
বুকের যতো কষ্ট ধুয়ে নষ্ট হৃদয়
একটু স্বস্তি পাক//

সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১২

চল একসঙ্গে দুজনে বৃষ্টি জলে নামি



বৃষ্টির জন্য দাঁড়িয়ে আছি আমি
ইচ্ছে করে তোমার কাছে গিয়ে থামি
তোমার চোখে শাওন মেঘ
আমার বুকে দূরন্ত আবেগ
চল একসঙ্গে দুজনে বৃষ্টি জলে নামি//

তোমার আকাশে আমি রোদ হবো


তোমার আকাশে আমি রোদ হবো
আমার আকাশে তুমি বৃষ্টি হও যদি
তোমার জন্য হবো অথই সাগর 
আমার জন্য তুমি হও যদি নদী//
 
 

তুমি কি আমার আকাশ হবে



তুমি
কি আমায় কিছু স্বপ্ন দেবে ধার
স্বপ্ন ডানায় চড়ে আমি দুঃখ নদী হবো পার
আমার পৃথিবীতে তুমি কি হবে আকাশ
আমি সেই আকাশে তারা হয়ে করবো বসবাস
তুমি কি আমার সুখ হবে কিংবা হবে দুঃখ
তোমার সঙ্গ পাওয়াটাই আমার কাছে মুখ্য//

রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১২

সময় চলে যায় যাক আমি কোথাও যাবো না


সময় চলে যায় যাক
আমি কোথাও যাবো না
ধরবো না সময়ের হাত
সময় যদি না করে পারাপার
করবো না হাহাকার
আমি তোমার হাত ধরবো
তোমার সঙ্গে পথ হেঁটে
সময়কে অতিক্রম করবো//


আমি ছিলাম তোমার এই জনমের শ্রেষ্ঠতম ভুল


শ্রাবণের রাতে যদি চোখে ঘুম না আসে
জানালার পাশে তুমি এসে দাঁড়িও
আমার কথা যদি মনে পড়ে যায়
গ্রিলের ওপাশে তখন দু'হাত বাড়িও
আমি বৃষ্টির জল হয়ে তোমায় ছুঁয়ে দিব
মনে জমাট কষ্ট গুলো সব ধুয়ে দিব
অথবা দমকা বাতাস হয়ে ছুঁয়ে দিব চুল
বুঝবে মেয়ে বুঝবে তখন আমি ছিলাম
তোমার এই জনমের শ্রেষ্ঠতম ভুল//

শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১২

মন বললো ভালোবাসি ভালোবাসি


সেদিন সারাদিন হয়েছিল তুমুল বৃষ্টি
ভালোবাসার ছায়া ভরা পথে
ছিল আমার মায়াভরা দৃষ্টি
আর ছিল বৃষ্টি ভেজা বেঞ্চিতে বসে
তোমার জন্য মধুর অপেক্ষার প্রহর
অতঃপর বৃষ্টি শেষে রোদ বিকেলে
বৃষ্টির জল মাড়িয়ে তুমি এলে
তোমার হাতে ছিল কয়েকটি গোলাপ
আর রোদেলা মুখে সলাজ হাসি
                                         তোমার এলো চুল ছুঁয়ে এলো
                                         একরাশ ঠাণ্ডা-হিমেল বাতাস
                                         সেই বাতাসে আমি বিশুদ্ধ হলাম
                                         মন বললো ভালোবাসি ভালোবাসি
//

তুমি আমাকে ধ্বংস করেছ আবার করেছ নির্মাণ


তুমি আমাকে ধ্বংস করেছ

ধ্বংসের পর আবার করেছ সৃষ্টি
যেমন কালবোশেখির তাণ্ডব শেষে
নামে প্রশান্তির ঝুম বৃষ্টি
তুমি আমাকে তছনছ করেছ
আবার ইচ্ছেমতো করেছ নির্মাণ
ঘরের প্রদীপ নিভিয়ে দিয়ে
জ্বেলেছ মনে শিখা অনির্বাণ//

নৌকাটি ছিল নদীর

                                       নৌকাটি ছিল নদীর
                                       আমি ছিলাম নৌকায়
                                       আমায় একটু দেখার লাগি
                                       তুমি ছিলে অধীর
তোমার মায়া চোখে
অপেক্ষার নোনা জল শুকায়

নদী ও নারীর জন্য
আমিও উতলা ছিলাম
তাই আমার সকল ভালোবাসা
                                         নদী ও তোমাকে দিলাম
                                         শুধু মন ভিজাবো বলে
                                         কিছু তৃষ্ণার জল চেয়ে নিলাম//

দূর থেকেই ভালোবাসো সন্নিকটে এসো না


তুমি আমাকে দূর থেকেই ভালোবাসো
সন্নিকটে এসো না
একদিন না দেখিলেই মন খারাপ হয়
এতোটা ভালো বেসো না

তুমি আমার চলার পথে দাঁড়িয়ে থেকে
অকারণে হেসো না
দূর থেকেই প্রেম দাও মায়া দাও
বেশী কাছে ঘেঁষো না//
 

সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

ভালোবাসলে কি ব্যথিত হতে হয়

                                              
ভালোবাসলে কি ব্যথিত হতে হয়
চোখের ভিতর জমে শাওনের জল
ভালোবাসলে কি নি:স্ব হতে হয়
বেদনার বৃষ্টিতে ভিজে করতল

ভালোবাসলে কি মন খারাপ হয়
মনের আকাশে ভাসে অভিমানী মেঘ
ভালোবাসলে কি কাটে নির্ঘুম রাত
বুকের ভিতর জমে দূরন্ত আবেগ//


রবিবার, ৫ আগস্ট, ২০১২

আমার সকল ভালোবাসা শুধু তোমাকেই দিলাম

তুমি আমাকে আজ
বিষাদে আচ্ছন্ন করে দিলে
অসহ্য করে দিলে
তিক্ত করে দিলে
ব্যথিত করে দিলে
অথচ এই তুমিই একদিন
আমায় ভালোবেসেছিলে

তোমার কথার তোড়ে
আজ আমি আহত হলাম
রক্তাক্ত হলাম
দুঃখিত হলাম
আশ্চর্য হলাম
তবুও আমার সকল ভালোবাসা
শুধু তোমাকেই দিলাম//
 

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

তোমার নামে কিছু বৃষ্টি পাঠিয়ে দিলাম


আকাশের নীল খামে তোমার নামে
কিছু বৃষ্টি পাঠিয়ে দিলাম
তুমি মন ভিজিয়ে নিও
পার যদি বর্ষা শেষে রোদ হয়ে এসে
আমার দরজায় একটু উঁকি দিও//

তোমাকে দেখার জন্য আমার পিপাসা হয়


তোমাকে ভুলতে চাই
ভুলতে পারি না সহসা
তোমাতে আসক্ত আমি
তুমি একটা নেশা
কি যাদু করেছ আমায়
মন ভাবে শুধু তোমায়
তোমাকে দেখার লাগি

সারাক্ষণ
যেন হয় পিপাসা//

ভালোবাসা মরে গেলে ঘৃণা হয়ে যায়



ভালোবাসা মরে গেলে
ঘৃণা হয়ে যায়
বুকের ভেতর কষ্টের
নদী বয়ে যায়
ভাঙ্গা মন মোমের মত
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়//

শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১২

আজ না হয় ভালোবাসার বদলে কিছু ঘৃণা কুড়িয়ে নিলাম



একসময় আমি তোমার অস্তিত্বের অংশ ছিলাম
সময়ের বৈরীতায় এখন চক্ষুশূল হলাম
কতো মেঘ কতো বৃষ্টি কতো চাঁদ কতো পূর্ণিমা
কতো নিঃসঙ্গ রাত তোমাকে দিলাম
আজ না হয় ভালোবাসার বদলে
কিছু ঘৃণা কুড়িয়ে নিলাম//

সোনামুখী সুঁইয়ের প্রান্তে গেঁথে দাও ভালোবাসার সুতো


আমাকে এক ঝলক আলো দাও
এক গ্লাস জোছনা দাও
স্বপ্ন দাও এক মুঠো
সোনামুখী সুঁইয়ের প্রান্তে
গেঁথে দাও রূপোলী সুতো
আমি তোমার সঙ্গে যাবো
পাড়ি দিব অথৈ নদী
হবো না কখনো ভীত
সোনামুখী সুঁইয়ের প্রান্তে
গাঁথো যদি ভালোবাসার সুতো//

চাঁদের সঙ্গে চলুক না হয় আমার অভিসার

হয়তো আমি ভালো নেই
হয়তো আমার মন খারাপ আজ
বুকেতে বিষের বীনা
মুখে তবু মিষ্টি হাসির কারুকাজ


হয়তো আমার পাথর চাপা কান্না
অশ্রু হয়ে ঝরে না
চোখের ভেতর জমাট অভিমান
বৃষ্টি হয়ে পড়ে না

তবু তুমি ভালো থেকো
সুখ-সমুদ্রের ওপার
একলা রাতে চাঁদের সঙ্গে
চলুক না হয় আমার অভিসার//

প্রশ্ন

এখনো কি তোমার ঠোঁটে
হাসির বিদ্যুত খেলে
ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকো
পড়ন্ত বিকেলে?

এখনো কি শিউলী কুড়াও
হাঁটো সবুজ ঘাসে
ঝলমলে রোদ গায়ে মেখে
স্বপ্ন উড়াও আকাশে?
                                                   
                                                     এখনো কি নীল শাড়ী আর
                                                     রাঙা টিপে সাজো ,
                                                     রক্ত জবা খোঁপায় তোমার
                                                     শোভা পায় কি আজো?//