পৃষ্ঠাসমূহ

জল-জোছনার কাব্য

জল-জোছনার কাব্য

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

তুই কি আমার বন্ধু হবি


তুই কি আমার বন্ধু হবি
আমার কথা মনে করে
সকাল-সন্ধ্যা অধীর হবি
দুষ্টমীতে বেনী ধরে
যদি দেইগো টান
ঠোঁট ফুলিয়ে গাল ফুলিয়ে
করবি অভিমান
যদি কখনো হারিয়ে যাই
পথ চেয়ে কি র’বি
অশ্রু দিয়ে চোখের পাতায়
আঁকবি আমার ছবি?//

সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ভালো বাসতেই হবে


আমাকে তোমার ভালো বাসতেই হবে
নয়তো দীর্ঘশ্বাসের আগুনে পোড়াবো তোমাকে
বেদনার কালো মেঘ ছড়িয়ে দেব তোমার আকাশে
তোমার হৃদয়ের সীমান্তে দিয়ে দিবো কাঁটাতারের বেড়া
তীব্র দৃষ্টি ছোবল হেনে বিধ্বস্ত করে দিবো তোমার তুমিকে
নিশ্চুপ রাতে দুঃস্বপ্ন হয়ে বার বার হানা দিবো তোমার ঘুমে
মধ্যযুগের কোন নগর দস্যু হয়ে লুট করে নিবো সকল স্বস্তি
বৃষ্টি হয়ে তোমার রোদেলা চোখে কিছু অশ্রু রেখে যাবো
আমাকে ভালোবাসতেই হবে নয়তো করতে হবে ঘৃণা
সুবিধাবাদী কোন অবস্থান আমি মেনে নিবো না//

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ইচ্ছে কুঁড়ি



কেন মেঘ দেখিতে চায় হৃদয় কেন বৃষ্টি মাখিতে চায় গায়ে
কেন ঝরাপাতার নূপুর কুড়িয়ে বাঁধিতে চায় তোর পায়ে
তুই দহন শেষে বৃষ্টি বেশে আমার কাছে আসিস
বুকের ভিতর পাতা হয়ে সরোবরে ভাসিস
তুই ভাঙ্গিস যদি নীরবতা ভাঙ্গিস যদি অভিমান
তোর সঙ্গে চন্দ্র রাতে জোছনায় করবো স্নান।
কেন রোদ দেখিতে চায় হৃদয় শিশির মাখিতে চায় পায়ে
এই মন উড়িতে চায় তারা হইতে চায় তোর আকাশের গায়ে//

পাথর সময়ের দীর্ঘশ্বাস


আমি তোমারই ছিলাম
কতো শীত-বসন্ত অতীত হলো
কতো বোশেখ এসে তছনছ করে দিল আমাকে
কতো বর্ষা এসে চোখের প্রান্তে রেখে গেল কান্নার জল
কতো শরৎ এসে হাতছানি দিয়ে প্রলুব্ধ করে গেল
প্রিয় প্রেমিকা পাথর সময়ের দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে
তবুও শেষ পর্যন্ত আমি তোমারই ছিলাম
অথচ তুমি আমার থাকনি//

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই

আমার মনের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই
তাই ভালোবাসা অবাধেই অনুপ্রবেশ করে
আমাকে উজ্জীবিত করে আশাবাদী করে
ভালোবাসার স্পর্শ পেয়ে আমি রোদেলা হই
তারপর আমাকে বিপন্ন করে দিয়ে
অন্ধকার করে দিয়ে তছনছ করে দিয়ে
হঠাৎ সে চলে যায় রেখে যায় কিছু নীল বেদনা
দিনশেষে আমি হৃদয়ে একটি তাজা ক্ষত
আর দু’চোখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে পড়ে থাকি
নিঃসঙ্গ পরিত্যক্ত দুমড়ানো কাগজের মতোই একা//
 

আসবো না ফিরে তোমাদের এই দুঃখ নদীর তীরে


একদিন সব কষ্ট সঙ্গে নিয়ে
চলে যাবো সকল কবিতা থামিয়ে
পেছনে পড়ে থাকবে শুধু দীর্ঘশ্বাস
মলিন ধূলোয় পড়ে থাকবে যুগল পদচিহ্ন
অবহেলে পড়ে থাকবে প্রিয় কবিতার খাতা
একদিন হয়তো আমি হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হবো
সঙ্গে করে নিয়ে যাবো আমার সকল অভিমান
অচেনা-অজানা কোন গন্তব্যে পথ হারাবো
থাকবেনা কোন দ্বিধা থাকবে না পিছু টান
একদিন ঠিকই চলে যাবো অচিন দেশে
আসবো না কখনোই আসবো না ফিরে
তোমাদের এই দুঃখ নদীর তীরে//

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমি তখন প্রেমিক ছিলাম


এক চৈত্রের প্রখর খরতাপে তোমার চোখে আমি শ্রাবণ দেখেছিলাম
বোশেখের এক উদাস দুপুরে তোমার দুঠোঁটের সীমান্তে এঁকেছিলাম প্রথম শরৎ
এক শীতের ভোরে তোমার শীতল দেহে কিছু উষ্ণতা মেখে দিয়েছিলাম
তোমার রোদেলা চিবুক ছুঁয়ে কিছু কথা বলেছিলাম এক আনমনা ফাগুনে
বর্ষার এক বৃষ্টি রাতে বেপরোয়া আগ্রাসী হাতে তোমাকে ছুঁয়ে দিয়েছিলাম
তোমার চুলের গন্ধে বিভোর হয়ে কোন এক অগ্রহায়ণে একটি কবিতা লিখেছিলাম
কারণ তখন আমি প্রেমিক ছিলাম//

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

পাপ


ঘাসের পাতায় রোদ জমেছে চক্ষু জুড়ে মেঘ
বক্ষ জুড়ে জল পিপাসা দুরন্ত আবেগ
খেয়ালি রাতে মেয়েলি হাত হঠাৎ জাপটে ধরে
চুড়ি ভাঙার শব্দে আমার দ্বিধা ভেঙে পড়ে
আচম্বিতে আমি যেন জলে দিলেম ঝাঁপ
দ্বিচারিণী হলো মেয়ে আমার হলো পাপ
তোর পদশব্দ পেয়ে আবার হবে ভোর
তোর হাসির নিক্কন শুনে আমার কাটবে ঘোর
আয়রে সখি আয় আমার ঘরে আয়
লজ্জা-সংকোচ রাখিস খুলে আমার দরজায়//

তুই কি বন্ধু হবি আমার দুঃখ রাতের তারা


তুই কি বন্ধু হবি আমার দুঃখ রাতের তারা
আমার ভিতর আমি যখন হচ্ছি দিশেহারা
তুই কি হবি আমার আপন হাজার লোকের ভিড়ে
আমার সঙ্গে বসবি একটু দুঃখ নদীর তীরে

যখন কষ্ট ভরা ব্যথা গুলো আমায় থাকে ঘিরে
ভর দুপুরেও বুকের ভিতর আঁধার নামে ধীরে
মনের ভিতর বাড়ে যখন অবিশ্বাসের চারা
তুই কি তখন হবি আমার দুঃখ রাতের তারা?//